ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতীতে দেশ চলতো বড় ভাই আর ওপরের নির্দেশে - মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০১-০৪ ০০:৪৮:৪৬
অতীতে দেশ চলতো বড় ভাই আর ওপরের নির্দেশে - মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। অতীতে দেশ চলতো বড় ভাই আর ওপরের নির্দেশে - মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।


 


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমান-আকিদা, বোধ-বিশ্বাস, আবেগ-অনুভূতি ও তাহবীজ- তামুদ্দনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল প্রকার বিভেদ ভুলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর দারুসসালামে গোলারটেক ঈদগাহ মাঠের পূর্ব গেইটে থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর হেকিম আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু হানিফের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা.মঈন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম মৃধা, জি এম হাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ মুয়াজ প্রমুখ। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে দেশে এক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং আমরা উম্মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সাথে কথা বলার সুযোগ লাভ করেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের আশঙ্কা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। কারণ, পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা এখনো ঘাপটি মেরে রয়েছে। জনপ্রশাসনেও তাদের উপস্থিতি আছে। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছরের শাসকগোষ্ঠী এই কাজটিই করেই নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা করে এসেছে। দেশ চলতো বড় ভাই আর ওপরের নির্দেশে। অর্জিত বিজয়কে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে সে অশুভ বৃত্ত থেকে অবশ্যই বেড়িয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বিপ্লবীদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসীবাদী সরকার দেশের সকল অবকাঠামো  ও রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ব্যাংক ও শেয়ার মার্কেট লুট করে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা দেশ থেকে অর্থপাচার করে কানাডার বেগম পাড়া বানিয়েছে। কিন্তু ৩৬ জুলাইয়ের বিপ্লবের মাধ্যমে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাই এসব বিপ্লবীদের কোন অবস্থায়ই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দেশে রাজনৈতিক হানাহানীকে আর কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিরোধীতা করলেই রাজাকার, জঙ্গী সহ নানাবিধ অপবিশেষণে বিশেষিত করে জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। তাই এই অশুভ চর্চাকে কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বরং যারা এসব করবে তাদেরকে আওয়ামী লীগের মতই ইতিহাসের আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। তিনি আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা উম্মুক্ত স্থানে সমবেত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তাই জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাণিত করতে এবং দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য দেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমাদেরকে নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে। 
 
 
কাফরুলে গণমিছিল চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে এবং আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যেগে মিরপুর ১৩ এলাকায় সন্ত্রাস, চাদাবাজ ও আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে এক গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর রেজাউল করিম মাহমুদের নেতৃত্বে গণমিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাফরুল পশ্চিম থানা আমীর আব্দুল মতিন খান, জামায়াত নেতা খান হাবিব মোস্তফা, আলাউদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান, শাহিন আলম, নিজাম আহমেদ ও রফিকুল আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবক মনিরুজ্জামান খান, শহিদুল্লাহ বেপারী, শহিদুল্লাহ মাদানী ও সিরাজুল ইসলাম সরদার প্রমূখ। 




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ